রোববার বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। খামখেয়ালি, নিয়মভাঙ্গা বৃষ্টি আমার ভারী ভালো লাগে। যেমন, শীত চলে যাওয়ার আগে এই বৃষ্টিটা। মনে হয়, যাক, ঠান্ডাটা আরও ক'দিন থাকবে তাহলে। পুজোর ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে ঠিক এরমটাই মনে হতো।
ঘরের মধ্যে কম্বলের পাটিসাপটায় মোড়া একটা সকাল, বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আর মাঝে মাঝে ভেসে আসা কোকিলের ডাক আমাদের বাগান থেকে। শীত, বর্ষা আর বসন্ত একসঙ্গে এর আগে কখনও দেখিনি আমি। এক টুকরো সকালে তিন তিনটে ঋতু! অদ্ভুত। সুন্দর।
একটা দিনের শুরুটা এমন সুন্দর হলে, সারাটা দিন বোধহয় এমনিই ভালো যায়, তাই না?
অবশ্য, কিছু কিছু মানুষ, জায়গা, ঋতু বা দিন এমন হয় যারা এমনিই ভালো। আলাদা করে কিছু করতে হয় না তাদের ভালো হওয়ার জন্য। মা, পুরীর সমুদ্র, শরৎকালের শিউলির গন্ধ আর রোববার......ঠিক এরকম, কিছু না করেই, না ভেবেই, কেবল কাছে থাকলেই উৎসব!
এই রোববার আরও একটা দারুণ জিনিস হয়েছে। একটা উপলব্ধি। নিজের বাড়ি বলতে আমি দুটো জিনিস বুঝি.....ছোট থেকে। সেই বাড়িটা যেটার (১) প্রত্যেকটা সুইচ বোর্ড এবং তার প্রতিটা সুইচে কোন আলো বা পাখা চলে সেটা আমার মুখস্থ থাকবে আর (২) লোডশেডিং-এর অন্ধকারেও যে বাড়ির সব কটা সিঁড়ি আমি অনায়াসে চড়তে, নামতে পারবো। দ্বিতীয় সূত্র ধরে, শশুরবাড়িটার ওপর নতুন করে আরও অনেকটা অধিকার বোধ জন্মালো আমার। এই রোববার একদম পাকাপাকি ভাবে ওটা নিজের বাড়ি হয়ে উঠলো। একদম। নিজের।
********************************
রোববার আমার সারাদিনের একটাই কাজ। সময় নষ্ট করা। সেটা করার পর যেটুকু সময় বাকি থাকে, সেটা কাটে পেটপুজোয়। সারা সপ্তাহ ধরে মুন্নি হবার যে স্বপ্নটা দেখি, ওই একটা দিনে তাকে বদনাম করে ছাড়ি। আমার বাপের বাড়িতে রবিবার লুচি হতো। সঙ্গে সাদা আলুর তরকারি; কালোজিরে, কাঁচা লঙ্কা চিরে দেওয়া। শেষের লুচিটা চিনি দিয়ে। এই বাড়িতে রোববার ভাজা ম্যাগি হয়। চাউমিনের মত। স্বাদ পাল্টানোর জন্য বাবা মাঝেমাঝে হিঙের কচুরি আর ছোলার ডাল নিয়ে আসেন। সঙ্গে জিলিপি। (যেটা খেলে সারাদিনের জিলিপি-ঢেঁকুর অবধারিত)
আমি দেখেছি যে রোববারের সকালের জলখাবার নিয়ে কারো তেমন মাথাব্যথা থাকেনা। প্রতি রোববার লুচি হলে কেউ "অন্য কিছু খাব" বলে বায়না ধরে না। ঝামেলাটা শুরু হয় বিকেলের জলখাবার ঘিরে। মানে, সপ্তাহের বাকি দিনগুলো বিকেলের জলখাবারটা তো আমরা অফিস-পাড়াতেই সারি। তাই বাড়িতে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই না। এটা লিখতে গিয়ে একটা মজার জিনিস মনে পড়ল। জলখাবারকে অনেক বাঙালিই 'টিফিন' বলেন। ভীষণ হাসি পায় আমার এটা শুনলেই .....অজানা কারণেই হয়তো। "বিকেলে টিফিন করেছিস?" "টিফিনে কি খাবি?" :D
আর এই বিকেলের টিফিনটা সারাদিনের কলুর বলদের খাটনির পর, যেন ঘন্টা দু'একের পেডিকিওর। বা, খুব গরমের দিনে ডীপ-ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা হওয়া খাওয়ার মত। কি আরাম, কি আনন্দ! অফিসের কাজের ফাঁকে আড্ডা আর টিফিন। হাই কোর্ট-পাড়ায় যাদের অফিস, তাঁরা জানেন যে ওটা পেটুকদের স্বর্গ। যেটা সব থেকে পপুলার বিকেলের খাওয়া, সেটা হলো আলুর চপ, বেগুনি আর ফুলুরি। সঙ্গে মুড়ি। আর তারপর মাটির ভাঁড়ের গরম চায়ে সুখ-চুমুক। ১০০-র মধ্যে ৮০টা লোক কোলেস্টেরল, ওজন, প্রেশার ইত্যাদি হাবি যাবিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তেলেভাজাময় হয়ে কাটিয়ে দেন অফিস পাড়ার দিনগুলো। আমার খাওয়া দাওয়ার কিয়দংশ ঘটিদের মতো। ভাজা বা নোনতা খাওয়ার পর আমার ভীষণ মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। বরিশালের লোকে শেষ পাতে ডাল না খেলে যেমন মনে করেন খাওয়াই হলো না, তেমন। তাই আলুর চপ, সিঙ্গাড়ার পর জিলিপি। সিঙ্গাড়া আর জিলিপি বলতে মনে পড়ল যে এই দুটোই দু'রকমের পাওয়া যায় অফিস পাড়ায়। বাঙালি এবং অবাঙালি। প্রথমটায় সিঙ্গাড়ায় চিনে বাদাম থাকে, কি কি সবজি আছে স্পষ্ট বোঝা যায় (যেমন খোসা-সুদ্ধ আলু, ফুলকপি ), সাইজে ছোট হয় আর দামেও। অবাঙালি সিঙ্গাড়ায় কচুরির মতো খয়েরি পুর থাকে......নো বাদাম, নো আলু। ঘিয়ের গন্ধ থাকে (যদিও আমার সন্দেহ ওটা ডালডা) আর দামটাও বেশি। এটার সঙ্গে উপরি পাওনা তেঁতুল আর গুড় মেশানো চাটনি (সিঙ্গাড়ার শেষে যেটা আমি কমপ্লানের মতো ঢকঢক করে খেয়ে ফেলি)। জিলিপির পার্থক্য হলো বাঙালি জিলিপি সাইজে ছোট, কিন্তু ওর শুঁড়গুলো মোটা। দাম ২ টাকা থেকে বেড়ে এই সবে ৩ হলো। অবাঙালি জিলিপি ৫ টাকা। বড়, কিন্তু শুঁড় সরু সরু। কামড়ালেই কেশরের গন্ধ। রাস্তার ধারের হলদিরাম-সুখ!
আজকাল এ পাড়ায় আলুর চপের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম আর টমাটোর চপ পাওয়া যায়। দু'দিকে পাশবালিশের মতো ক্যাপসিকাম বা মাথার বালিশের মত দু'ফালি টমাটো, মাঝখানে দেদার ঝাল-দেওয়া পুর। এই পোস্ট লিখতে গিয়ে শর্ট-সার্কিট হয়ে মরে যাবো। (না, এবার ঠিক আছে, চার্জারের তারটা খুলে নিলাম সুইচ বোর্ড থেকে)।
চপ বলতে আর একটা জিনিস মনে পড়ছে । আমাদের চা-ওয়ালার ঠিক পাশেই ঠেলা নিয়ে একটা ছেলে বিক্রি করে ডালের বড়া। ন্যাপথালিনের বলের সাইজ, ওপরে বিট নুন ছড়ানো, সঙ্গে লঙ্কা, ধনেপাতা আর পুদিনা মেশানো চাটনি। সবাইকে ও খবরের কাগজের টুকরোয় এক চিলতে চাটনি দেয়। আমি আর আমার বন্ধু জোর করে পাশের দোকানের প্লাস্টিকের চায়ের কাপে চাটনি ভরে নিই। ৫ টাকার ডালের বড়া এক নিমেষে ৫০০ টাকার আনন্দে বদলে যায়।
আমাদের বিকেলের খাওয়া বলতে আজকাল কিন্তু শুধুই রাস্তার খাবার......আমাদের অফিস পাড়ায় নামি দামি কফি বা কেকের দোকান থাকা স্বত্তেও। মানে, মনজিনিশের কেকের থেকে এ পাড়ায় অনেক বেশি বিক্রি হয় বাপুজি বা বড়ুয়া বেকারির "টিফিন" কেক। দামের জন্য না বোধহয়, স্বাদের জন্য। এটা বলতে গিয়ে আবার মনে পড়ল দুটো কেকের কথা, ছোটবেলার কথা। "জলযোগে" এক রকম কেক পাওয়া যেত গোলাকৃতির। জিলিপির মতোই কনসেপ্ট, কিন্তু প্রতিটা লেয়ার একে অপরের গায়ে লেগে থাকা আর মাঝে মাঝে পাতলা গোলাপি বা সাদা ক্রিম। ঠিক মাঝখানটায় ক্রিমের ভাগটা বেশি, গোল করা। ছোটবেলায় বলতাম "জিলিপি-কেক"। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বলে ছেলেবেলায় ওর নাকি জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল জিলিপি-কেককে সোজা করা। ওই রকম কেক যে কতদিন দেখিনা! আগে রাস্তার চায়ের দোকানে পাওয়া যেত। অন্য যে কেকটার কথা বলছি সেটা ক্রিম রোল। এখনো যেকোনো বড় কেকের দোকানে পাওয়া যায়, কিন্তু সেদিন মেনকা সিনেমায় ইন্টারভালে যেটা খেলাম, সেটার স্বাদ একেবারে আলাদা। বাসী-বাসী, পুরনো একটা গন্ধ, কিন্তু তবুও ভালো। মেনকা, প্রিয়া, নবীনায় যে চিকেন প্যাটি পাওয়া যায় সেগুলোও অদ্ভুত ভালো খেতে। প্রতি কামড়ে ময়দার খোলসের পঞ্চাশটা টুকরো সারা গায়ে, ব্যাগে এসে পড়বে, তাতেই আনন্দ।
এক সময় বিকেলে খিদে পেলে মোমো খেতাম খুব। অফিস পাড়ায় তখন ফুটপাথে মোমো পাওয়া যেত দশ টাকায় পাঁচটা। ফুচকার থেকেও সস্তা। মা শুনে বলেছিল, "ওগুলো চিকেন মোমো হতেই পারেনা। চড়ুই বা কাকের মাংস নির্ঘাত!" না পেরে জিগ্যেস করলাম লোকটিকে। "শহরে তো চড়ুই আর দেখতেই পাওয়া যায়না। সব কি ওই মোমোর মধ্যে চালান করে দিচ্ছ?" লোকটা এর উত্তরে বলেছিল, "সে আমি যার মাংসই খাওয়াই, পেট খারাপ হয়েছে কোনদিন এগুলো খেয়ে? হলে বলবেন!" সত্যি, মানতেই হবে, এ পাড়ার খাবারের USP হলো, পেটের অসুখ করে না সচরাচর।নইলে বর্ধমান, চন্দননগর থেকে রোজ যে মিষ্টি আসে, সেগুলোর ওপর সারাদিন মৌমাছি ঘোরে। বসেও। আমি খাইও। কিছু তো হয়না ! এমনকি কাটা ফল (যেগুলো খেলেই জন্ডিস) সেগুলোও আমি অকপটে পেটে চালান করেছি কতদিন!
একটা জিনিস খুব দেখি এখানে। লোকে বিকেলের খিদে মেটাতে খুব ডিম খান। ডিমের 'মামলেট', ডিম-পাউরুটি, শুধু সেদ্ধ বা 'হাঁপ-বয়েল'। এক ঝুড়ি একদম একরকম দেখতে ডিমের মধ্যে কি করে যে একটা- কুসুম, ডবল-কুসুম, পুরো-সেদ্ধ আর আধসেদ্ধ ডিম এক নিমেষে আলাদা করে দেন ডিম বিক্রেতা, সেটা আমার জীবনের অষ্টম আশ্চর্য।
আজকাল রোলের দোকানে একটা নতুন সংযোজন হয়েছে। রুটি দিয়ে চিকেন রোল। দুপুরে যে রুটি বিক্রি হয়না, সেগুলো বিকেলে লো-ফ্যাট রোল হিসেবে বিক্রি হয় মাংসের পুর ভরে। তেলবিহীন রোল, মেদবিহীন চেহারার জন্য। আগে একদম ভালো লাগতো না। তেল-ছাড়া রোল ঠিক পুরীর সমুদ্রে মগ হাতে চান করার মত। (পরোটা-রোল খাওয়ার পর কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার জন্য যেরকম প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়, রুটির রোলে সেটা হয়না কিন্তু।)
এই আলোচনাটাই হচ্ছিল এই রোববার আমার আর কর্তার। বেচারার "কর্পোরেট" অফিস পাড়া। রাস্তার যে কয়েকটা দোকান আছে, তাতে নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। ইডলি, দোসা......লিখতে লিখতেই গা গুলোচ্ছে আমার। তাই বেশি লিখছি না। (ওদের অফিসের কাছে হোটেল সেনেটরে চিকেন দোসা পাওয়া যায় নাকি!! নেতাজিতে 'জি' আছে, পেঁয়াজিতেও......চাইলেও কি দুটো কোনদিন এক হতে পারে? চিকেন দোসা!! :/)
যাগ্গে, এবার রবিবারের বিকেলের টিফিন। দুপুরবেলা মাংসের ঢেঁকুর তুলতে তুলতে আমরা প্রতিজ্ঞা করি "কাল ব্রেকফাস্টের আগে আর খাব না"। কিন্তু যেই ঘড়ির বড় কাঁটা ছোটটার মাথার ওপর সোজা হয়ে দাঁড়ালো, এমনি খাই-খাই শুরু। রোববারের সন্ধ্যেগুলো কেমন যেন দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ার মত। শুরু হলেই খালি খিদে পায়। আর নানান খেয়েও খিদে মিটতে চায় না কিছুতেই। (আমার পুরো জীবনটাই সেই অর্থে একটা ট্রেনে চেপে দুনিয়া ভ্রমণ। যে স্টেশনে যা পাওয়া যায়, সেটাই খাওয়া চাই।)
শীতে আমাদের বাড়ির খুব কাছে একটা মেলা হয়। প্রতি রবিবার বিকেলে কর্তার সঙ্গে পেট পুরে দই ফুচকা আর অনেক-পেঁয়াজ-দেওয়া ঘুগনি খেয়ে আসতাম। ঝাল লাগলেই ক্যান্ডি ফ্লস বা বাদাম চাকতি। দুঃখের বিষয়, মেলা তো আর সারা বছর হয়না। :(
একটা জিনিস খুব ভালো লাগে বিকেলের চায়ের সঙ্গে। জয়দীপ কিনে আনে মাঝে মাঝেই। শ্যামবাজার মোড়ে বড়ুয়া অ্যান্ড দের “প্যান্থেরাস”। মাছের মোটা পুর, ঠিক কম্বলের মত। আর সেই কম্বলের ওয়াড়টা হল মাংসের। যে না খেয়েছে তাকে বোঝানো দুষ্কর। সাউথ পোলের মোঘলাই, কাম্পারির ফিশ-রোল, কুসুমের হট কাঠি রোলকে হাল্কা কান ঘেঁসে ওভারটেক করে বেরিয়ে গেছে এই “প্যান্থেরাস”, রসনাতৃপ্তিতে প্রথম হওয়ার দৌড়ে। এই একই দোকানের ফাউল কাটলেট আর ডিমের চপও দারুণ, লোভনীয়।
কি খাই, কি খাই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কর্তা হঠাৎ মনে করাল আমাদের ছোটবেলার কথা। বাইরের ভাজাভুজি খাওয়া তখন একেবারে নিষিদ্ধ। বিকেলের “টিফিন” মানে চিঁড়ের পোলাও, চিঁড়ে ভাজা, শুধু আলু–পেঁয়াজ–ডিম দেওয়া চাউমিন, সুজি বা সুজির পায়েস। মাঝে মাঝে বাড়িতে বানানো মুড়ি-মাখা বা ঝালমুড়ি। আমাদের বাপের বাড়ির পাড়ায় প্রতিদিন বিকেলে ঝালমুড়ি-ওয়ালা আসতো। আশেপাশের অবাঙ্গালি বাচ্চারা খেত। কি প্রচণ্ড বায়না করতাম আমিও, খাওয়ার জন্য। মা বলতো “ওগুলো হিন্দুস্থানি বাচ্চারা খায়। তুমি খেলেই অসুখ করবে।” (অবাঙ্গালি হলেই মা তাদের হিন্দুস্থানি বলতো!) যাইহোক, বাড়িতে বানানো ঝালমুড়ি আমার ভালো লাগতো না একেবারেই। তার চাইতে অনেক বেশি ভালো লাগতো নারকোল কোরা আর চিনি মুড়িতে মেখে। গরমকালে দুধ মুড়ি কলা/আম অথবা চিঁড়ে-দই খেতেই হত। কোনও বায়না চলতো না। শীতকালটা এলে কপালে জুটতো কড়াইশুঁটির কচুরি। সেমাইয়ের পায়েসও হত খুব আমাদের বাড়িতে। আর পিঠে-পুলি। ঠাকুরকে ডাকতাম, এবার যেন শীতটা না যায়, দেখো তুমি।
রকমারি কিছু না থাকলে একটা জিনিস কিন্তু পেটেন্ট ছিল। তাওয়ায় সেঁকা পাউরুটি, মাখন মাখিয়ে। ওপরে চিনি। ভাঁজ করলেই গলানো মাখন আর চিনিটা এসে জড় হত মাঝখানটায়। তক্ষুনি কামড়। আহ! যেই মাঝখানে ফাঁকটা হল, অমনি ওটা দিয়ে আমরা ক্যামেরা বানিয়ে ছবি তুলতে শুরু করতাম (মুখ দিয়ে শাটারের আওয়াজ করে)। টোস্টারে সেঁকা পাউরুটিতে না যায় মাখন-চিনি এক জায়গায় এনে কামড় বসানো, না যায় ছবি তোলা। ভাঁজ করলেই দু’টুকরো হয়ে যায়। :(
এছাড়া ছিল ফ্রেঞ্চ টোস্ট, আলু সেদ্ধ দেওয়া স্যান্ডউইচ। আমার মামার কল্যাণে আমরা প্রথম ভাজা ভুজি খেতে শিখি। মুখার্জির মাছের চপ আর সেন মহাশয়ের অম্বল কচুরি (যদি খেয়ে বাই চান্স অম্বল না হয়, মামা বলতেন এক গ্লাস জল খেয়ে নিতে, অম্বল হবেই।) :D
********************************
কিছু মানুষ এমন আছে যারা খাবারের কথা বললেই তাদের ওজন আরও খানিকটা বেড়ে যায়। কার কথা বলছি সেটা ধরতে পারলে প্রাইজ নেই কিন্তু! তাই মনে হয় এবার নটে গাছটা মুড়নোর সময় হয়েছে।
টিফিন নয়। সবাই টিপিন বলে। ওটাই আসল কথা।
ReplyDeleteপ্যান্থেরাস একটা স্বর্গীয় খাবার। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহই নেই।
Tipin! jani! bhishon boka lagchilo, tai likhini.
DeleteMa boleche oporer comment pore: Abhishek ke bolish, ghoti ra tipin bole. tui toh ghoti nosh. :/
DeleteMothers!!!
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThank you Raj Gaurav. Tomar suggestioner beshir bhaagi amar jaoya :) Tobe je paray office hoy, jekhankar street food i normal working day te beshi khaoya hoy....tai erom ekpeshe High Court parar tiffiner list. :)
DeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeleteDrooling already. Fatafati with a 'faw' :P
ReplyDeleteThank you thank you. *bows*
DeleteOma ei lekha ta to age dekhini
ReplyDelete:D ei lekha ta amar nijer khub bhalo lagar lekha. khabar shonkranto bolei hoyto :D
Delete